1. m.a.roufekhc1@gmail.com : alokitokha :
সেনা-বিজিবি ও বিমানবাহিনীর সহায়তায় যতীন ত্রিপুরাকে হেলিকপ্টারে চমেকে প্রেরণ - আলোকিত খাগড়াছড়ি

সেনা-বিজিবি ও বিমানবাহিনীর সহায়তায় যতীন ত্রিপুরাকে হেলিকপ্টারে চমেকে প্রেরণ

  • প্রকাশিতঃ রবিবার, ৩ মে, ২০২০
  • ৯৮ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ

খাগড়াছড়ির সীমান্তবর্তী রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের জপুই পাড়া হতে যতীন ত্রিপুরা (৩৩) নামে ত্রিপুরা ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর এক যুবককে উন্নত চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য সেনাবাহিনী ও বিজিবির সহায়তায় বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টারযোগে চট্টগ্রাম নিয়ে আসা হয়েছে।

রবিবার (৩ মে) বিকাল ৪টায় সেনাবাহিনীর তত্বাবধানে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী জহুর ঘাঁটি’র একটি বিশেষ হেলিকপ্টারে করে যতীন ত্রিপুরাকে প্রথমে চট্টগ্রাম সেনানিবাসে নিয়ে আসা হয় এবং পরবর্তীতে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

জানা যায়, গত ২৯ এপ্রিল (বুধবার) রাংগামাটি জেলার সাজেক ইউনিয়নের জপুই এলাকাতে জুম চাষের সময় উঁচু পাহাড় হতে দূর্ঘটনাবশতঃ পড়ে গিয়ে নিচে থাকা বাঁশের আঘাতে মারাত্মকভাবে জখম হন যতীন ত্রিপুরা। স্থানটি অত্যন্ত দূর্গম হওয়ায় সেখানে চিকিৎসা সুবিধা খুবই অপ্রতুল। এই অবস্থায় আহত যতীন ত্রিপুরাকে নিকটতম জপুই বিওপিতে আনা হলে বিজিবি ক্যাম্প কর্তৃক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়। কিন্তু আঘাতের মাত্রা বিবেচনা করতঃ জীবন রক্ষার্থে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রামে নেয়া প্রয়োজন বলে বিজিবি কর্তৃক বিষয়টি খাগড়াছড়ি সেনা রিজিয়নকে জানানো হয়। অতঃপর খাগড়াছড়ি সেনা রিজিয়ন বিষয়টি তাৎক্ষনিকভাবে ২৪ পদাতিক ডিভিশন (চট্টগ্রাম সেনানিবাস)’কে অবহিত পূর্বক হেলিকপ্টারের মাধ্যমে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রামে আনার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করেন।

বিষয়টি মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনায় নিয়ে ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল এস এম মতিউর রহমান তাকে দ্রুত হেলিকপ্টারের মাধ্যমে চট্টগ্রামে স্থানান্তর করার নির্দেশ প্রদান করেন।

এরই প্রেক্ষিতে, সেনাবাহিনীর তত্বাবধানে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী জহুর ঘাঁটি’র একটি বিশেষ হেলিকপ্টারে করে যতীন ত্রিপুরাকে প্রথমে চট্টগ্রাম সেনানিবাসে নিয়ে আসা হয় এবং পরবর্তীতে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

উল্লেখ্য, এর আগেও ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর সোনাপতি চাকমা এবং গত বছরের ২৯শে এপ্রিল জতনি তঞ্চংগ্যা নামে দুই প্রসূতিকে এবং গত বছর ১২ মে দূর্গম পাহাড়ে ভাল্লুকের আক্রমনে ক্ষত-বিক্ষত আহত পণবিকাশ ত্রিপুরাকে হেলিকপ্টারে করে চট্টগ্রাম নিয়ে এসে প্রাণ বাঁচায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।

এছাড়াও, অতি সম্প্রতি (গত ২৫শে মার্চ) রাঙামাটির সাজেকের দুর্গম এলাকা লুংথিয়ান ত্রিপুরা পাড়ায় হামে আক্রান্ত মুমূর্ষু পাঁচ শিশুকে বাঁচাতে সেনাবাহিনীর তত্বাবধানে বিমান বাহিনীর একটি বিশেষ হেলিকপ্টারের মাধ্যমে তাদেরকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এনে ভর্তি করানো পূর্বক প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবার ব্যবস্থা করা হয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো সংবাদ